মে মাসের ৮-৯ তারিখের দিকে আরেক হৃদয় বিদারক গণহত্যা সংঘটিত হয় দাকোপ থানার সাহেবেরাবাদ গ্রামে।
বাগেরহাটের রামপাল ফকিরহাট, বেতাগা, দাকোপ, বুড়িডাঙ্গা, চুনকুড়ির অসংখ্য লোক নদীপথে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শতাধিক নৌকাযোগে চালনার পশর নদী ধরে চুনকুড়ি নদী দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। পথিমধ্যে উজান বেঁধে যাওয়ায় ভদ্রা ও চুনকুড়ি নদীর সঙ্গম স্থানে ওয়াপদা কলোনী ত্রিমোহনী নামক স্থানে দাকোপ সাহেবেরাবাদের পারে নৌকাগুলো অনুকূল স্রোতের অপেক্ষায় থামিয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে থাকে। ঠিক অপর পাড়ে ছিলো ওয়াপদা কলোনী এবং সেখানে বিহারীদের বাস ছিলো। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুখানা গানবোটে পাকিস্তানি সেনারা এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
প্রাণভয়ে সকলে দৌঁড়াতে থাকে, অনেকে পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে। পানিতে যারা পালিয়েছিলো, তাদেরকেও পানি থেকে উঠিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এরপর পাকিস্তানি বাহিনী বোট থেকে নেমে গোবরা বাড়ি [গোবরধন] হতে শুরু করে দাকোপ সরকারি পুকুরপাড় পর্যন্ত এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকে। এখানে বহু লোক নিহত ও গুলিবিদ্ধ হয়। তবে নারী ও শিশুদের কম হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শী চুনকুড়ির সুরেশ রায় এবং সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন যে সেদিনের এই নিষ্ঠুর গণহত্যায় কমপক্ষে ১৫০-২০০ লোক নিহত হয়।
গুলিবিদ্ধ অনেকে পথে মারা য়ায়। অধিকাংশই রামপাল বাগেরহাট হওয়ায় তাদের নাম যানা সম্ভব হয়নি, তবে স্থানীয় কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া যায়, তারা হলেনঃ
১] দ্বিজবর রায় [চুনকুড়ি] ২] ফনিভূষণ রায় {চুনকুড়ি] ৩] মাদার রায় [চুনকুড়ি] ৪] পঞ্চানন রায়[চুনকুড়ি] ৫] বিনয় রায় [চুনকুড়ি] ৬] অনিল রায় [চুনকুড়ি] ৭] অনাদী ঢালী [সাহেবেরাবাদ] ৮] হাজরা মন্ডল [সাহেবেরাবাদ] ৯] বাচা মন্ডল [সাহেবেরাবাদ] ১০] কালীপদ মন্ডল [চুনকুড়ি] এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে যারা বেঁচে আছেন ১] সুকুমার রায় [চুনকুড়ি] এবং ২] শান্তিরাম বালা [চুনকুড়ি] । এ স্থানটি আজো অনালোচিত ও অচিহ্নিত অবস্থায় আছে।
****
This atrocious genocide occurred on 8-9 May at Shaheberabad village, Dacope thana. During 1971, many people from Bagerhat, Rampal, Fakirhat, Betaga, Dacope, Buridanga, Chunkuri started to move to India by boats. They stopped meanwhile for food and due to the current of the river. Biharis used to live on the other side of the river. They informed the Pakistani army and they fired upon the Bengalis randomly.
People started to run out of fear, some jumped into the river. But still couldn’t save their lives. Witness claimed that at least 150-200 people died on that brutal genocide.
Unfortunately, the place is still unmarked and unrecognized.