এই বধ্যভূমিটি যশোর জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এবং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বধ্যভূমি। ‘রায়পাড়া বধ্যভূমি,’ ‘শংকরপুর বধ্যভূমি’, ‘সরকারি হাঁস-মুরগি খামার বধ্যভূমি’ প্রভৃতি নামেও পরিচিত এই বধ্যভূমি। যশোর পৌর এলাকার রেলরোড ধরে রামকৃষ্ণ আশ্রম রোড হয়ে চাঁচড়ার দিকে যেতে হাস-মুরগির খামার পড়ে। এই বধ্যভূমিটির আশে পাশে ছিল অবাঙালি বিহারিদের তিনটি কলোনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা বাঙালিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। এখানে বসবাসকারী বিহারিদের মধ্যে- কালা রশিদ, হাসনা, ভুট্টো, টেনিয়া, হাবিব, মোস্তফা, আবুল, রমজান, কালুয়া, মুনসুর ও ফখরুলের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঙালিদের ধরে এনে জবাই করতো এবং পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করতো। অন্তত ১০০ দিনে এখানে ঐ মানুষদের হত্যা করা হয়। সরকারি হাঁস মুরগি খামারের পাশে কালিতলার গায়ে ১৯৯২ সালে একাত্তরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ২০০৬ সালে সরকারি উদ্যোগে দর্শনীয় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
***
This genocide is the biggest genocide at Jessore and one of the biggest genocides in Bangladesh. This place is also known or mentioned as as ‘Roypara Genocide’, ‘Shangkarpur Genocide’, and ‘Govt. Poultry Farm Genocide’. There were 3 Bihari colonies (Non-Bengal) besides the mass killing site. During the War time, they, with the collaboration of Pakistani Army, killed countless Bengali people unpityingly. Local Biharisabducted many Bengali and slaughtered themhere. Pakistani Army also shot many Bengalis in this place. Around 6-7 thousands had been killed here within 100 days.
In 1992, a Martyr Memorial has been built besides Govt. Poultry Farm Genocide and in 2006.