মহেশপুর হাসপাতাল গণহত্যা: ঝিনাইদহ
পাকিস্তানি ঘাতকরা রাজাকারদের সহযোগিতায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে ট্রাক ভর্তি করে লোকজনকে ধরে এনে হাসপাতালের একটি কক্ষে চোখ বেঁধে আটকে রাখত। তারপর চলতো নির্মম নির্যাতন। জবাই করে, বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে, এছাড়া গুলি করাসহ আরও নানা পাশবিক উপায়ে তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করতো।
পাকিস্তানি ঘাতকরা হাসপাতাল লাগোয়া জমিতে প্রায় ৫০/৬০টি গর্ত করে। নিরীহ মানুষদের হত্যার পর এই গর্তগুলোতে ফেলে দিয়ে মাটি চাঁপা দেওয়া হয়। অর্ধমৃত দেহগুলোকেও গর্তে ফেলে মাটি চাঁপা দেয়া হতো।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, পাকিস্তানি ঘাতকরা হাসপাতালেই প্রায় ৫০০ জনের বেশি নারী-পুরুষকে হত্যা করে।