ব্রিজ থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে ছিল জেলা পরিষদের এই ডাকবাংলো। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পাকা দেওয়াল ও টিনের চাল দেওয়া ডাকবাংলোটি ছিল নদীর পাশেই। বর্তমানে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এই স্থান থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারেরা এই ডাক বাংলোতে অস্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণ করে। এর পাশেই ছিল তাদের বিশাল একটি বাঙ্কার। সেই বাঙ্কারে সবসময় ভারী আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে রাখা হতো। এর ফলে ঐ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ ঐসব দেখে সবসময় তটস্থ ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে থাকতো। প্রায় প্রতিদিন রাতে গুলি করে ও জবাই করে প্রচুর মানুষকে হত্যা করা হতো ব্রিজের উপর। পাকিস্তানি সেনারা ও রাজাকাররা দিনের বেলা বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সহযোগীদের খুঁজতে চলে যেতো, তাদের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী। গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের না পেলে ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতো, লুটপাট করতো। যাদের খুঁজে পেতো তাদেরকে ধরে এনে ডাকবাংলোর মধ্যে রেখে দিনের পর দিন অকথ্য নির্যাতন চালাতো। রাজাকাররা গ্রাম থেকে যুবতী মেয়ে ও স্ত্রীদের ধরে এনে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দিতো। পাকিস্তানি সেনারা দিনের পর দিন ঐ ডাকবাংলোতে রেখে তাদের ধর্ষণ ও নানারকম বীভৎস শারীরিক নির্যাতন চালাতো।
***
The district council's Dakbungalow was about 300 yard from the bridge. The Dakbungalow was built during the British period. In 1971, The Pakistani army and Razakars built temporary base and a large bunker full of heavy firearms. As a result, the people of this are were always terrified to see them. Nearly every night many people were shot and slaughtered on the bridge. Pakistani troops and Razakars used to go to different areas during the day to search for freedom fighters and their supporters. If they did not find them in the villages, they would burn houses and loot them. The Razakars used to take young girls and women from the village and handed them over to the Pakistani army. The Pakistani soldiers raped and abused them ghastly days after days.