খুলনা জেলার, বটিয়াঘাটা উপজেলায় অবস্থিত বাদামতলা বধ্যভূমি। ১৭ মে তারিখে খান-এ সবুরের কয়েক শত অনুসারী এই এলাকায় লুটপাট করতে এসে বাধাপেয় ফিরে যায়। ১৯ মে তারা আবার এসে কাজিবাছা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে গুলি চালাতে চালাতে প্রবেশ করে। দেবিতলা গ্রমের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের নদী পেরুলে বাদামতলা বাজার। ফুলতলা, দেবীতলা প্রভৃতি গ্রমের মানুষেরা যেদিক পারছিল, ছুটে পালাচ্ছিল। পিছু পিছু পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও খান-এ সবুরের কয়েক শত অনুসারী গুলি চালাতে চালাতে ছুটে আসছিল। বাদামতলা বাজারে আগেথেকে শরনার্থী জড়ো হয়েছিল। এরা রুপসা, ফকিরহাট, রামপাল থেকে পালিয়ে আসা লোক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তঁদের বাদামতলা বাজারের অদুরে জড়ো করে গুলি চালাতে থাকে, শরনার্থীরাও যেদিকে পারে পালাতে থাকে। ১০০ এর অধিক লোক নিহত হয়, যাদের অনেকেরই পরিচয় পাওয়া যায়নি। যাদের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁরা হলেন- গীতাঞ্জলী বিশ্বাস, দিনেস বিশ্বাস,অমূল্য রায়, মনোরমা রায়, ব্রজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নিত্যানন্দ মন্ডল, মৌসুমী বৈরাগী, মনোহর মন্ডল, মান্দার ঢালী, কুঞ্জবিহারী মন্ডল, সাহেব ঠাকুর, বীরেন তরফদার, সুরেন্দ্রনাথ বাছাড় ও সামনুর রহমান। বাদামতলা গণহত্যা থেকে যারা বেচে যায় তরাই আবার ২০ মে চুকনগর গণহত্যা শিকার হয়। ২০ জুন ২০১৪ ‘১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের’ ট্রাষ্টি সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বাদামতলা বধ্যভ’মির পরিচিতি ফলক স্থাপন করেন। সঙ্গে ছিলেন ট্রাষ্টি সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম, অধ্যক্ষ ড. আবুল কালাম আজাদ ও সাংবাদিক গৌরঙ্গ নন্দী।
***
Badamtola mass-killing site is situated at Batiaghata Upazilla in Khulna. On 17th May some supporters of Khan A. Sobur tried to loot here but they couldn’t accomplish. They again came and started to fire on the villages near Kajibacha River. People of Fultola and Debitola villages became panicked and started to run here and there. A lot of refugee from Rupsha, Fakirhat and Rampal gathered at Badamtola Bazar (Market). Nealry 100 of people died that day and most of their names remains unknown. Those who survived that day became the victim of Chuknagar Genocide on 20th May.
On 20th June 2014 Dr. Muntassir Mamoon, trusty-chairperson of ‘1971: Genocide-Torture Archive and Museum’, built a sign board of Badamtola Genocide. Trusty Secretary Dr. Sheik Baharul Alam, Principle Dr. Abul Kamal Azad and Journalist Gaurangi Nandi were also present there.