বাঘারপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের ঠিক পূর্ব পাশে উপজেলা পশুসম্পদ অফিস ছিল এই এলাকার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি। কত মানুষকে যে এখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তার সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব না। বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে এনে প্রথমে নানারকম অকথ্য নির্যাতন চালাতো। বর্তমানে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে যেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বাসভবন, তার পাশে ছিল রাজাকারদের ক্যাম্প। ঐ ক্যাম্পে নিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হতো। সন্ধ্যার পরে পশুসম্পদ অফিস ও বর্তমানে ইউএনও এর বাসভবনের পেছনে বাঘারপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পেছনে চিত্রানদীর ধারে নিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতো। মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বধ্যভূমিতে প্রায় ২০ দিনে অসংখ্য গণহত্যা ঘটেছে। রাজাকাররা সিইও অফিসের ভিতরে এবং পশুসম্পদ অফিসের মধ্যে সাধারণ মানুষদের ধরে এনে নির্যাতন করে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে কখনো গুলি করে আবার কখনো জবাই করে হত্যা করতো। এখানে প্রায় সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
***
The largest mass killing site was the Livestock Office, just east of Bagharpara Upazila complex. It is not possible to estimate the number of people who were tortured and killed here. The Razakars used to torture and later kill them and dump the bodies in the Chitra River. From March to December, at least thousands of people were exterminated in this genocide.