১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল (৯ বৈশাখ), পাটকেলঘাটা বাজারে জনৈক পাঞ্জাবী রুটি বিক্রেতা অবাঙালি মনুকসাই ও স্থানীয় কতিপয় পাকিস্তানী দালালদের সহযোগিতায় খানসেনারা পারকুমিরা ও পুটিখালি গ্রামে প্রবেশ করে এবং কয়েকজন নিরীহ স্থানীয় লোকজনকে ধরে নিয়ে আসে। এ সময় খুলনা, ফুলতলা ও নওয়াপাড়া থেকে আগত শরণার্থীরা ভারত যাওয়ার পথে পারকুমিরা দাতব্য চিকিৎসালয়ে বিশ্রাম করছিলেন। ভোরে মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে, ঠিক ঐ সময় শুরু হয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। পাকসেনারা দাতব্য চিকিৎসালয়ের সামনে ৪৯ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর পাকসেনারা পাটকেলঘাটা বাজারে অব্দুর রউফ, দীনবন্ধু পাল, অনিল দাস, নিমাই সাধু, গোস্ট, বিহারী কুন্ডসহ কয়েকজন নিরীহ লোককে গুলি করে হত্যা করে। নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারে কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাসকে। তিনি ছিলেন তৎকালীন মুসলিম লীগের একজন কর্মী। তাঁকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল পারকুমিরা গ্রামের হিন্দু পাড়ায় বাড়িঘরে আগুন দিতে কিন্তু হায়দার আলী বিশ্বাস তাতে অসম্মতি জানালে তাঁর শরীরে পাট জড়িয়ে কেরোসিন ঢেলে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হয়। মৃতদেহগুলোকে তালগাছ ও মেহগনি গাছের মধ্যবর্তী স্থানে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার পর মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় পারকুমিরা গ্রাম ছিল অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতি। ১৯৭১ সালে পারকুমিরার প্রত্যেক বাড়ীতে তল্লাশি করে বহু লোককে মেরে ফেলা হয়। পারকুমিরা গ্রামটিই ছিল গণহত্যার স্পট।
***
On 23rdApril 1971, Pakistani Army, with the help of a Punjabi bread dealer, non-Bangali Manukasai and some local Pakistani brokers, entered the village of Parkumira and Putikhali villeges, and abducted some innocent locals. At the time, some refugees from Khulna, Phultala and Nawapara were on their way to India and stopped at a charitable dispensary in Parkumira. In the dawn, the Pakistani army brutally killed 49 people there. Haider Ali Biswas, an activist of the then Muslim League of Kashipur village was brutally burned. He was ordered to set fire to the houses in the Hindu Para of Parkumira, but he disagreed and was brutally burned. According to the witnesses Parkumira was a Hindu inhabitant village. In 1971, a lot of people were killed in Parkumira.