কালিয়ার পূর্ব সীমানার উত্তর পূর্ব কোনের গ্রামের নাম চাপাইল। এখানেই আঠার বাঁকি নদীর জন্ম। মধুমতীর ডান তীর ভেদ করে দক্ষিণ দিকে বয়ে চলেছে। মধুমতীর দু’তীরে গর্বিত গোপালগঞ্জ, নড়াইল এবং বাগেরহাট জেলা অবস্থিত। আঠার বাঁকির দু’তীরে তেমনই উপমহাদেশে বিখ্যাত নড়াইলের কালিয়া এবং বাগেরহাটের মোল্লাহাট। আঠার বাঁকির ডান পাঁশ ঘেঁষে সারিবদ্ধ কয়েকটা সবুজ গ্রাম চাপাইল, মুলশ্রী, বাগুডাঙ্গা, বল্লাহাটি এবং পাখিমারা। ১৪ই মে ১৯৭১ শুক্রবার সকাল সাতটা। পাকিস্তানি নরপিশাচদের একটি গানবোট মধুমতী ও আঠারবাঁকি মোহনায় চক্কর দিতে থাকে। এক সময় বাগুডাঙ্গার ঘাটে গানবোটটি ভেড়ায়। প্রায় দু’শ পাকিস্তানি সেনা সুরু পথ বেয়ে বল্লার হাটির দিকে এগিয়ে চলে। গ্রামের নর-নারী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশুরা এ দুঃসংবাদ শুনে ভয়ে চিৎকার করে ঘরবাড়ী ফেলে বিস্তীর্ণ ধান ও পাট ক্ষেতে আশ্রয় নেয়। মুলশ্রী গ্রামের বিহারী আবু হারার যোগসাজশে সেদিন পাখিমারা ও ছাচিয়াদহের গ্রাম গুলিতে গণহত্যা চালানো হয়। পাখিমারা গ্রামটি ছিল হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। দু’শতাধিক হানাদার ও রাজাকার বাহিনী পাখিমারা গ্রামটি ঘিরে দুই-তিন ঘণ্টা ধরে নির্যাতন ও গণহত্যা চালায় এবং গান পাউডার দিয়ে গ্রামের বাড়ী ঘর আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাদের হাত থেকে মুক্তি পায় নি বাঙালি ললনারাও। হত্যা করা হয় বহু হিন্দু মুসলমানকে।
***
On May 14, 1971, Pakistani Military Force attacked Pakhimari and Sochiadaho village. People of the village got panic and start running here and there. They took shelter in the paddy and jute fields. Most of the villagers were mainly Hindu. Pakistani Military, along with Razakars, perpetrated genocide and torture villagers. The houses were burned. Women were raped. Many of the villagers were killed on that genocide.