২০ এপ্রিল, পাকবাহিনী বিশাল কনভয়ের আকারে সাতক্ষীরায় পৌঁছায়। ঐ দিন পাকবাহিনী যশোর-সাতক্ষীরা প্রধান সড়কের ঝাউডাঙ্গা বাজারে পৌঁছালে পার্শ্ববর্তী পাথরঘাটা গ্রামের কুখ্যাত নরপশু মতিয়ার রহমান (বুকড়া মতি) চলমান পাক-বাহিনীর একটি জীপ থামায়। ঐ সময় যশোর ছিয়ানব্বই গ্রাম থেকে আগত এক বিশাল শরণার্থী কাফেলা ঝাউডাঙ্গা বাজার অতিক্রম করছিল, তখন উক্ত মতিয়ার রহমানের ইন্দনে উক্ত জীপের পাকসেনারা ঐ বিশাল শরণার্থী কাফেলার উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। অতঃপর পাকসেনারা ঝাউডাঙ্গা বাজারের কয়েকটি হিন্দুর দোকান লুটের নির্দেশ দিয়ে সাতক্ষীরা শহর অভিমুখে চলে যায়। পাকসেনাদের অতর্কিত গুলিতে শত শত নর-নারী ও শিশু নিহত ও আহত হয়, যা ছিল অতি হৃদয়বিদারক।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা হাই স্কুলের উত্তর-পশ্চিম কোনে এই স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। বর্তমানে গণহত্যার স্থানটিতে কয়েকটি বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে কোন স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়নি।
***
On 20th April, Pakistani Military Force reached Satkhira with a huge convoy. The troop was crossing Jessore-Satkhira Main road. Vicious Motiyar Rahman (Bukra Moti) stopped the car and with the help of him Pakistani military fired to kill a huge number of refugees from Jessore; Pakistani army had fired on the huge refugee indiscriminately and burnt down many houses and shops. Hundreds of men, women and child got killed on that brutal genocide.
The genocide took place on the north-west side of Jhaudanga High School at Satkhira Sadar Upazilla.