ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত ক্রিসেন্ট জুট মিল। মুক্তিযুদ্ধকালে মিলটি গণহত্যা এবং বধ্যভূমির এক নিদর্শন। মিলের মধ্যে কাটাই ঘর নামে পাট কাটা একটি বিশাল টিন শেটের পাঁকা ঘর অবস্থিত। এখানে শ্রমিক ও শহর থেকে অনেক লোককে ধরে এনে জবাই করতো। প্রত্যক্ষদর্শী মিলের শ্রমিকদের ভাষ্যমতে এখানে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে সহস্রাধিক নিরীহ লোককে ধরে এনে হত্যা করা হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এখানে রিক্সাওয়ালা জাবেদ আলীসহ বেশ কয়েকজন মিলটির ভেতরে যায়, জাবেদ আলী বাদে বাকী রিক্সাওয়ালাদের নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হয়।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের অত্যাচার ও নির্মম হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়েছেন পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটকে থাকা ও নির্যাতনের শিকার ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। শাহরিয়ার কবিরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “গভীর রাতে একাধিক ট্রাক ভর্তি মানুষ এনে মিলের পাটের গুদামের পাশে নামাতো। তাদের হাত-পা চোখ বাঁধা থাকতো। ওই অবস্থায় পাট কাটা মেশিনের মধ্যে দিয়ে তাদের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলতো। তিনি বলেন, ক্রিসেন্ট জুট মিলের কাস্টম অফিসারের কোয়ার্টারটিও নির্যাতনের সেলে পরিণত হয়েছিলো। এ কোয়ার্টারের পাশে মানুষ হত্যা করে রক্ত ড্রেনের মাধ্যমে পাশের ভৈরব নদীতে বইয়ে দিতো এবং লাশগুলো ভৈরব নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দিতো।
***
Crescent Jute mill is located on the banks of Bhairab River. This mill is a perfect sign and example of genocide in 1971. It became a death camp and torture cell of Pakistani Army during liberation war. According to various eyewitnesses, during the whole time of 1971 thousands of innocent people was abducted and killed ruthlessly inside the mill. Ferdousi Priyabhashini, who was a Bangladeshi sculptor and who was the first one to publicly announce herself as Birangona, was also an eyewitness of the genocide in Crescent Jute mill. She stated that, after killing Bengali people their blood was drained into the nearby river and body was thrown out in the river.