১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মতান্তরে ২৭ এপ্রিল খুলনা জেলার অন্তর্গত তেরখাদা থানার আজগড়া গ্রামে এক নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চলে। স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য জুম্মান খানের সহযোগীতায় খুলনা থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি দল এ দিন আজগড়া গ্রামে প্রবেশ করে ৪০ (চল্লিশ) জনের অধিক ব্যক্তিকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। তাঁদের বেশির ভাগ ছিলো বহিরাগত ফলে তাঁদের পরিচয় খুজে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য। যাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে, তাঁরা হলেন: ১.কালীপদ চক্রবর্তী ২. ধীরেন্দ্র নাথ ঘোষাল, ৩. হিরালাল গোস্বামী, ৪. মুনসুর শিকদার ৫. বসন্ত বাছাড় ৬. বৈদ্য চরণ বাছাড়, ৭. অতুল বাছাড় ৮. শিশির, ৯. চন্ডি বুড়ি ১০. বাবুরাম বিশ্বাস, ১১. কালিপদ মিত্র, ১২. কালীদাশ বিশ্বাস, ১৩. দৈবচরণ চক্রবর্র্তী, ১৪. হরিরর বৈরাগী, ১৫. সুধির শিকদার, ১৬. শান্তিপদ শিকদার, ১৭. সন্যাসী শিকদার, ১৮. পলাশ শিকদার, ১৯. পদ রায়।
এখানে জনাব মল্লিক সুধাংশু; ট্রাস্টি শংকর কুমার মল্লিক ও পরিচালনা পরিষদ সদষ্য অমল কুমার গাইন এর তত্তাবধানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজ শেষ করা হয়। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাষ্ট, খুলনা এর অর্থে স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে স্মৃতিফলকটি উন্মোচন করেন সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব জনাব মো: ইব্রাহিম হোসেন খান।
***
On 17th April, 1971 (27th April by other opinion) an outrageous massacre took place on Ajgora village, Terokhada Thana at Khulna. With the assist of a local member of Shanti Bahhini (Razakar) named Jumman Khan, a troop of Pakistani Military force entered into the village and killed more than 40 people indiscriminately. As most of the victims were from outside of the village and their identification remain unidentified. Some of the names are found, they are Kalipod Chakrabati, Dhirendranath Ghoshal, Heeralal Goshami, Munsur Shikder, Bashanta Bachar, Chondi Buri, and others.
A memorial has been built in this place by 1971: Genocide- Torture Archive & Museum Trust in 2017.